ছন্নছাড়া – ১

সাতকান্ড রামায়ণ পড়ে সীতারামের মাসি… কিন্তু সীতারামের মাসি রামায়ণ ছাড়া অন্য কিছু পড়ে কিনা সে প্রশ্ন কেউ করেনা!

শুধু আফগানিস্তান আর পাকিস্তানের মাঝখান ক্যান, আমাগো দ্যেশেও যে ‘খাইবার পাস’ সিল আমারে দেখ্যা বুজসস তো, মিঞা?

খালি বসে বসে কফি খাওয়া হচ্ছে, কাজ-কর্ম সব latte!

জাপান থেকে কলকাতায় পড়তে এসেছিল এক ছাত্র। নাম তার নিকুচি।
ক্লাসের মধ্যে যখনই একটা গণ্ডগোল হত, বাকি ছাত্ররা আঙুল তুলে বলত, “নিকুচি করেছে!”

“আহা! পেসট্রি-টা বড্ড ক্রিমি হয়েছে!”
“কৃমি হবে কেন বাবু, আমি তো হাত ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়েছি!”

ডালের মেহেন্দি + চালের মেহেন্দি = খিচুড়ি মেহেন্দি

“আপনার মুখ খুব jealous….”
“তার মানে? কী বলতে চাইছেন?”
“যা জেল্লা দিচ্ছে! একেবারে জেল্লাস…”

Guest-কে ভয় কর না, ভয়ের কিছু নেই। তবে হ্যাঁ, সঙ্গে যদি থাকে বিচ্ছু Gestapo, ব্যাপার অত্যন্ত ভীতিপ্রদ।

শেষের কবিতার যেমন অমিট রায়ে, শেষের পরীক্ষার প্রধান চরিত্র দুটি- কমিট রায়ে এবং ভমিট রায়ে।

আর লাঞ্চনা সহ্য করিতে না পারিয়া স্থির করিয়াছি আপিস যাইবার পূর্বে লাঞ্চ লইয়া যাইব।

“উত্তর করিয়া আসিবে, আমি উত্তরের অপেক্ষায় থাকিব” – জনৈক উত্তর কোরিয়া-র বাসিন্দা।

“তোমার আমার জীবনবীমা এক-তারেতেই বাঁধা” – (কিশোর – আশার ডুয়েটটা যদি এল. আই. সি. স্পন্সর করত)

“বস্ত্রালয়ে জীবন্ত মানুষ” – নামভূমিকায়, পুজোর-সময় জনৈক ভদ্রলোক ।

নীলকন্ঠ মল্লিকের আরো কয়েকটি ছড়া

 

লিওনেল মেসি যেন বেশি শান্ত-শিষ্ট
খেলতে এসে কলকাতায় প্রায় হলেন পদপিষ্ট

বসে আছি মুখটি গুঁজে আজকে তুমি বিনা
মেসি ছাড়া নামবে মাঠে কেন আর্জেন্টিনা?

দক্ষিণী খাবারে যেমন লাগে কারিপাতা
রোমাঞ্চকর সিরিয়ালে জমে আড়িপাতা

পুজো হলো গনশার
সবার হলো প্রাণ সার
কেবল আমি ড্যান্সার

এলোমেলো হঠাৎ হলো মধুর আলাপন
বেলা শেষে অচিন দেশে আমার সাতকাহন

কবি নীলকন্ঠ মল্লিক (বৈকুন্ঠ মল্লিকের কনিষ্ট ভ্রাতা)

নীলকন্ঠ মল্লিকের দশটি ছড়া

ওহে কবি জীবনানন্দ, চেয়ে দেখো তোমার ধানসিড়ি
নদীর পাড়ে উঠেছে ধোঁয়া, ইঁটভাটাতে পোড়া বিড়ি

তোমার বেঙ্গালুরু, আমার গাদিয়াড়া
দেখো কবিগুরু, নোবেল নিল কারা

উঠতি বয়েস,কুর্তি পরে ললনা রঙিন
পাড়ার ছোকরা মুগুর ভাঁজে হবে ম্যাসকুলিন

ল্যান্ডলাইন বলে, ‘ওহে মোবাইল, আমি বয়জ্যেষ্ঠ’
মোবাইল বলে,  ‘আবার বল, লাইনটা ফাটাকেষ্ট’

টেস্ট ম্যাচ-এরে খেলতে গিয়া করসে হালা ক’রান
ভাবতেসি আর কান্দতেসে অন্তরে মোর পরান

সত্য সেলুকাস বলি গপ্প লেখ ইতিহাস
দেশটা যে জটিল, মুচকি হাসলে অশ্লীল

রথে মিষ্টান্ন সেবন করিতে কদাপি
বায়না করিবেন না রাসুময়রার জিলাপি

রাসমঞ্চে যেমন নাচেন শুনে গোসাঁই, “কালা”
তেমন নাচেন ডিস্কোঠেকে যুবক গাঞ্জাওয়ালা

খেতে ভালো লাগে যাদের তাদের কানে বলি
সয়াসসে সটে করুন চিকেন উইথ ব্রকলি

দেখি রাজ্যে কত রঙ্গ, পশিমবঙ্গ হবে বঙ্গ
আমি পশ্চিম দেশের হ্যাংলা, আমার চোখে জয়-বাংলা

কবি নীলকন্ঠ মল্লিক (বৈকুন্ঠ মল্লিকের কনিষ্ট ভ্রাতা)