মুক্তি

গতকাল “মুক্তি” ছায়াছবি দেখে কিছুটা সময় ভুলে গিয়েছিলাম সে চলচ্চিত্রটা মুক্তি পেয়েছিল ১৯৩৭ সালে। এই ছায়াছবির জন্যে কানন দেবী যখন পঙ্কজ মল্লিকের পরিচালনায় “তার বিদায়বেলার মালাখানি” গেয়েছিলেন তখন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ বেঁচে ছিলেন। আবার এই “ছায়াছবি” কথাটা অর্থপূর্ণ কেননা এই চলন্ত ছবির প্রত্যেক প্রধান চরিত্র বহু বছর মৃত। পর্দার সামনে এবং পেছনে, যাঁরা এই ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁদেরও হয়ত আজ কেউ নেই। যাঁরা সিনেমা হলে দেখতে গিয়েছিলেন বা সচিত্র পোস্টার দেখেছিলেন পরাধীন ভারতের অবিভক্ত বাংলায় কোনো শহরে তাঁদেরই বা ক’জন রয়েছেন আজ?

চলচ্চিত্রের এক আশ্চর্য ক্ষমতা। সাহিত্যে, শিল্পকলায়, এমন কী সঙ্গীতেও এমন জলজ্যান্ত ছায়ামূর্তি দেখতে পাওয়া যায়না- মানুষ হাসছে, কাঁদছে, ভালবাসছে বারবার একটি নির্ধারিত নিয়মে।

কখনো কী ছায়ামূর্তিগুলোর মনে হয়না আজ সেলুলয়েড থেকে বেরিয়ে আসি? আজ দর্শকদের অভিনব এক দৃশ্য দেখাই?