কাব্যি করে

ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে গদাধারী ভীম রে
মরণ-বাঁচন তুর্কিনাচন, গায়ে যে তার পিমরে।

মগজসৃষ্ট কল্পলোকে যা ভাবি আগামী
সম্ভাবনা ভাঁজ করে রোজ নিত্য ওরিগামি।

কপালভরা তিলক ভেবে কানে ধ্বনি ডঙ্কার
কপাল ফেটে টিকা বিনে হল ধনুষ্টংকার।

পাড়াগাঁয়ের চেনা নাড়ুগোপাল
আমরিকাতে হলেন এপিস্কোপল।

চালাও তুমি সারা বিশ্ব, তাই তোমায় প্রণমি
গ্রীসটা ডুবল, ইউরো ভোগে তুমি ইকনমি।

নীলকন্ঠ মল্লিকের নতুন কয়েকটি ছড়া

প্রাতঃকালে কফি বেগেল
সঙ্গে আছেন নিত্‍সা হেগেল

যেমন গঙ্গাপূজা গঙ্গাজলে
তেমন পাব’ওস্থানে সুরা চলে

হিটলার সিল ক্ষ্যাপা নাত্‍সী
ভাবতসিল মামু জিত্‍সী

অন্ধজনে দেহ আলো
আমাজনের সার্ভিস ভাল

কোনও বস্তু কিনিবার পূর্বে ভাবিবে
কিনিবার পশ্চাতে রহিয়াছে ই-বে

এত জিনিস কেন কিনিস
করগে আগে অংক ফিনিশ

দীপাবলি পকেট খালি সর্বত্র যে টাইট
মোমের বাতি অতি পাতি ভাগ্যে লিচু লাইট

নীলকন্ঠ মল্লিকের আরো কয়েকটি ছড়া

 

লিওনেল মেসি যেন বেশি শান্ত-শিষ্ট
খেলতে এসে কলকাতায় প্রায় হলেন পদপিষ্ট

বসে আছি মুখটি গুঁজে আজকে তুমি বিনা
মেসি ছাড়া নামবে মাঠে কেন আর্জেন্টিনা?

দক্ষিণী খাবারে যেমন লাগে কারিপাতা
রোমাঞ্চকর সিরিয়ালে জমে আড়িপাতা

পুজো হলো গনশার
সবার হলো প্রাণ সার
কেবল আমি ড্যান্সার

এলোমেলো হঠাৎ হলো মধুর আলাপন
বেলা শেষে অচিন দেশে আমার সাতকাহন

কবি নীলকন্ঠ মল্লিক (বৈকুন্ঠ মল্লিকের কনিষ্ট ভ্রাতা)

নীলকন্ঠ মল্লিকের আরো কযেকটি ছড়া

কুস্তি করবে আখড়াতে ওই শুঁটকেমার্কা বলাই?
খাচ্ছে পাঁচন পেটে নাচন, ভয়ংকর ই-কোলাই

হাটে-বাজারে
আন্না হাজারে
সামনে খালি থালা
খাবে না তো খেয়ো না
ভাত কারুর মেরো না
আমার খিদের জ্বালা

ধৃতরাষ্ট্র বলিল, “কি সংবাদ দেশের সঞ্জয়?”
সঞ্জয় বলিল, “কিসের চিন্তা স্যার, জাস্ট এঞ্জয়”

গোরাসাহেব প্রশ্ন করেন, “ওয়ের আর ইউ ফ্রম?”
“যে দেশের বিদ্যেসাগর, ওরে নরাধম!”

কবি বলল, “বড়ই কষ্ট পরান যাই জ্বলিয়া”
“ওষুধ দিচ্ছি,” বলল ডাক্তার, “রোগটা মেলেঙ্কলেয়া”

ওয়েস্ট বেঙ্গাল
ছিলে বহুকাল
আজ তুমি
পশ্চিমবঙ্গভূমি

আকাশে ওড়ে মুক্ত বিহঙ্গ
পশ্চিমবঙ্গ রইলো পশ্চিমবঙ্গ

আহা পশ্চিমবঙ্গ
চলছে কত রঙ্গ
শুধু তোমার সঙ্গ

কবি নীলকন্ঠ মল্লিক (বৈকুন্ঠ মল্লিকের কনিষ্ট ভ্রাতা)


নীলকন্ঠ মল্লিকের দশটি ছড়া

ওহে কবি জীবনানন্দ, চেয়ে দেখো তোমার ধানসিড়ি
নদীর পাড়ে উঠেছে ধোঁয়া, ইঁটভাটাতে পোড়া বিড়ি

তোমার বেঙ্গালুরু, আমার গাদিয়াড়া
দেখো কবিগুরু, নোবেল নিল কারা

উঠতি বয়েস,কুর্তি পরে ললনা রঙিন
পাড়ার ছোকরা মুগুর ভাঁজে হবে ম্যাসকুলিন

ল্যান্ডলাইন বলে, ‘ওহে মোবাইল, আমি বয়জ্যেষ্ঠ’
মোবাইল বলে,  ‘আবার বল, লাইনটা ফাটাকেষ্ট’

টেস্ট ম্যাচ-এরে খেলতে গিয়া করসে হালা ক’রান
ভাবতেসি আর কান্দতেসে অন্তরে মোর পরান

সত্য সেলুকাস বলি গপ্প লেখ ইতিহাস
দেশটা যে জটিল, মুচকি হাসলে অশ্লীল

রথে মিষ্টান্ন সেবন করিতে কদাপি
বায়না করিবেন না রাসুময়রার জিলাপি

রাসমঞ্চে যেমন নাচেন শুনে গোসাঁই, “কালা”
তেমন নাচেন ডিস্কোঠেকে যুবক গাঞ্জাওয়ালা

খেতে ভালো লাগে যাদের তাদের কানে বলি
সয়াসসে সটে করুন চিকেন উইথ ব্রকলি

দেখি রাজ্যে কত রঙ্গ, পশিমবঙ্গ হবে বঙ্গ
আমি পশ্চিম দেশের হ্যাংলা, আমার চোখে জয়-বাংলা

কবি নীলকন্ঠ মল্লিক (বৈকুন্ঠ মল্লিকের কনিষ্ট ভ্রাতা)